ঘোষনা:
শিরোনাম :
নীলফামারীতে সাংবাদিককে হামলার সুষ্ঠ বিচারের দাবীতে স্বারকলিপি প্রদান। নীলফামারীতে দীপ আই কেয়ার ফাউন্ডেশনে চক্ষু সেবা মাত্র একশত টাকায় হিট স্ট্রোকের আগে কি কি,উপসর্গ হতে পারে সাতক্ষীরায় প্রেমিকার বাড়ীতে নির্মম নির্যাতনের শিকার টেক্সটাইলস ইঞ্জিনিয়ার রংপুরে ক্যামেরায় কথা বলছে, গ্রামীন জনপদের ফরিদপুরে বাস পিক-আপ মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১২, আশঙ্কাজনক ৩ পহেলা বৈশাখে বর্ণিল উৎসবে মেতেছে নীলফামারী সাতক্ষীরায় ভিডিও কলে রেখে ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে বিউটিশিয়ানের আত্মহত্যা নীলফামারীতে ঘোড়ার প্রতি পাকে,পরিবারে জীবনের গল্পটা কস্টের নীলফামারীতে কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজের উদ্বোধন
ঘূর্ণিঝড় সিডর” এই দিনে আঘাত হানে

ঘূর্ণিঝড় সিডর” এই দিনে আঘাত হানে

ফাইল ছবি।

বরগুনা প্রতিনিধি,

“ঘূর্ণিঝড় সিডর” ২০০৭ সালের এই দিনে আঘাত হানে দেশের দক্ষিনাঞ্চলে। বেস কয়েকটি জেলাকে লন্ড-ভন্ড করে দেয়ার সাথে সাথে হাজারো মানুষের প্রাণ কেড়ে নেয় ঘূর্ণিঝড়টি। ভয়াল সিডরের ১৪ বছর পেরুলেও বরগুনার অপেক্ষাকৃত দূর্যোগ ঝুঁকিপুর্ন এলাকাগুলোতে নদীর পাশের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ গুলো এখনও হয়নি সংস্কার ও নির্মিত হয়নি পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র। তবে জেলা প্রশাসনের দাবী বেড়িবাধ নির্মান ও আশ্রয় কেন্দ্র বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছেন তারা।

১৫ নভেম্বর ২০০৭ সালে সকাল থেকেই উপকূলের আকাশে গুরু গম্ভীর মেঘ আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। রাত আনুমানিক সাড়ে আটটার দিকে প্রচন্ড বেগে উপকূলে আঘাত হানে স্মরনকালের ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ সিডর। মাত্র আধাঘন্টার তান্ডবে লন্ডভন্ড হয় পড়ে উপকুল। প্রবল তোড়ে বেরীবাঁধ উপচে এবং ভেঙে পানি ঢুকে চেনা জনপদ মুহুর্তে পরিণত হয় অচেনা এক ধ্বংসস্তুপে। সরকারী হিসেব উনুযায়ী উপকূলীয় জেলা বরগুনার ১ হাজার ৩৪৫ জন মানুষের লাশ উদ্ধার করা হয়েছিল। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১শ’ ৫৬ জন। তবে বে-সরকারী হিসেবে নিহতের সংখ্যা প্রায় ২ হাজার, আহতের সংখ্যা ২৮ হাজার ৫০। ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬১ পরিবারে ঘড়-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে ৭৭ হাজার ৭৫৪ টি। ফসলের ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৪৩ হাজার ৩৯৩ একর, গবাদি পশু মারা গেছে ৩০ হাজার ৪৯৯টি, ক্ষতিগ্রস্থ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ১ হাজার ২৩৫, ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তা ৪২০ কিলোমিটার, ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজ/কালভার্ট ১ হাজার ৭৯৭ মিটার। আমাবস্যা-পুর্নিমার সময় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে এ অঞ্চলে ফসলের ব্যপক ক্ষতি হয়। তলিয়ে যায় উপকূলের ঘর-বাড়ি। এসব ক্ষতিগ্রস্থ বাঁধ দ্রæত সংষ্কার বা পুন:নির্মান না হলে প্রাকৃতিক দুর্যোগে আবারো অসংখ্য জীবন হারানোর আশঙ্কায় এ জেলার মানুষ। এছাড়াও ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার পথেই এদের বেশীরভাগের মৃত্যু হয়। কিন্ত সিডরের ১৪বছর পূর্তি হলেও অনেক এলাকায় এখনো কোনো আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান হয়নি। ভয়াবহ দিনটির কথা শরণ করে এখনও আতকে ওঠেন উপকূলবাসী। সিডরের পরে অতিবাহিত হয়েছে ১৪টি বছর। প্রতি বছর সিডরে ক্ষতিগ্রস্থ বাধ মেরামতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় করেছে পানি উন্নয়ন বোর্ড। কিন্তু সুফল পায়নি উপকূলবাসী। প্রতি বছরই আবারো বাধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। এছাড়াও সিডরের সময় পর্যাপ্ত সাইক্লোন শেল্টার না থাকায় নিরাপদে আশ্রয় নিতে না পেরে মারা গেছে অনেকে। এখনও যে পরিমান সাইক্লোন শেল্টার আছে তাতে জেলার অর্ধেক মানুষ ও যায়গা পাবেনা।
বরগুনা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী  মোঃ কাইছার আলম বলেন,ক্ষতিগ্রস্থ বাধ স্থায়ী সমাধানের জন্য প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে বলে জানান পানি উন্নয়ন বোর্ডের এ কর্মকর্তা।

বরগুনা জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, জনসাধনের নিরপদ আশ্রয়ের জন্য বেড়িবাধ নির্মান ও আরও আশ্রয় কেন্দ্র্র নির্মানে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে । পর্যায়ক্রমে সব নির্মান হবে।

প্রতিবছর সিডরে নিহতদের স্বরনে বরগুনা জেলা প্রসাশন ও বরগুনা প্রেসক্লাব দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেন।





@২০১৯ সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত । গ্রামপোস্ট২৪.কম, জিপি টোয়েন্টিফোর মিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।
Design BY MIM HOST