মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার,
নীলফামারীর সৈয়দপুরে স্থানীয় মুদি দোকানের মালিক লাল মিয়া কর্তৃক ধর্ষণের স্বীকার হয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মুমূর্ষ অবস্থায় নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী মনিকে (ছদ্দনাম) ভর্তি করে পুলিশ। ধর্ষিত ছাত্রী মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। ধর্ষণের ঘটনাটি গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া বালা পাড়া এলাকায় ঘটে। সে ওই এলাকার আলি হোসেনের মেয়ে।

রবিবার (২৬ জুন/২২) সকালে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের গাইনী বিভাগের রেজিস্ট্রার ডাঃ হাসিনা বানু বলেন, মেয়েটি যখন ভর্তি হয়েছে তখন খুব খারাপ অবস্থা ছিলো, তার জরায়ু মুখের ভিতর রক্তের দলা ছিলো, আমরা প্রতিদিন পরিস্কার করে চিকিৎসা দিচ্ছি। মেয়েটি অবশ্যই ধর্ষনের শিকার হয়েছিলো। তবে কিছুটা উন্নতি হয়েছে, আরও ৪/৫ দিন সময় লাগবে পুরোপুরি সুস্থ হতে।

মেয়ের মা রোকেয়া বেগম বলেন, আমার মেয়েকে জোর করি ইজ্জত নস্ট করছে। আমি লাল মিয়ার ফাঁসি চাই। আজকে আমার মেয়ে ৪ দিন থেকে মেডিকেলের ফ্লোরে আছে। কিছু খাইতে পারেনা শুধু জুস খেয়ে আছে। উঠে দাঁড়াতে ও পারেনা। আমি প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায্য বিচার চাই ।

এলাকার আবুল কালাম আজাদ বলেন, চওড়া বাজার এলাকার কমিউনিটি ক্লিনিক সংলগ্ন আফসার আলীর ছেলে লাল মিয়ার দোকানে যায় খাবার কিনতে। দোকান বন্দ থাকার অজুহাত দিয়ে ধর্ষক লাল মিয়া ঘরের চাবি আানার জন্য নিজ ঘরে মেয়েটিকে পাঠায়। পিছন থেকে ঘরে ঢুকে মেয়েটিকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে। মেয়েটি অজ্ঞান হয়ে ঘরের মেঝেতে পড়ে গেলে ধর্ষক পালিয়ে যায়। মেয়ের মা এলাকাবাসীর সহযোগিতায় পুলিশকে জানায়। এবং রক্ত খরন অতিরিক্ত হলে, শুক্রবার সকালে নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালে মুমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি করান। ধর্ষক মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিচ্ছে মেয়েটির পরিবারকে। নীলফামারীর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েটির জীবন সংকটাপন্ন।

সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল হাসনাত বলেন, মামলা হয়েছে মামলা নং ১৮। আসামী পলাতক আছে। তাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।