কুমিল্লা প্রতিনিধি।
কুমিল্লার দেবিদ্বারে ‘সরকার বাড়ি’ ও ‘হবির বাড়ি’র আধিপত্য বিস্তার নিয়ে প্রতিপক্ষের দ্বন্ধে ছুরিকাঘাতে এক যুবক খুন হয়েছে। আজ শনিবার বিকাল ৫ টায় ফতেহাবাদ ইউনিয়নের নুরপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবকের নাম মেহেদী হাসান শান্ত (২৫)। সে ওই এলাকার সরকার বাড়ির মো.জাকির হোসেনের ছেলে। স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছেন। আহতরা হলেন, মো. আশরাফুল ইসলাম, নুরুল ইসলাম, ছিকাব আলম ও রাসেল মিয়া। তাঁরা সবাই নুরপুর এলাকার বাসিন্দা। আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে প্রত্যাক্ষদর্শী নুরপুর এলাকার বাসিন্দা মো.সাদ্দাম হোসেন জানান, নুরপুর এলাকার আমেরিকার প্রবাসী সরকার বাড়ির মো.সাজিদুর রহমান সরকার ও হবির বাড়ির আল আমিনের সাথে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বাক-বিতÐা হয়। এক পর্যায়ে আল-আমিনকে স্থানীয়রা নির্ভৃত করার চেষ্টা করে। পরে সাজিদ উচ্চবাক্য করলে আল আমিন ক্ষিপ্ত হয়ে সাজিদকে ঘুষি দিলে সাজিদ কোমর থেকে সুইচ গিয়ার (ছুরি) বের করে এলোপাতারি কোপাতে থাকে। এ ঘটনায় সাজিদকে থামাতে এসে মেহেদী হাসান শান্ত কোমরে ছুরিকাঘাত হলে ঘটনাস্থলেই শান্ত মারা যায়।
দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক ডা. জান্নাতুল মাস্তুরা জানান, পিটের নিচে ছুরিকাঘাত হওয়ায় শান্ত আগেই মারা গেছেন।
কুমিল্লা উত্তর জেলার ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নুরপুর গ্রামের বাসিন্দা আবু কাউছার অনিক জানান, সাজিদ প্রকাশ্যে এলোপাতারি ছুরিকাঘাতে করে শান্তকে হত্যা করেছে। এ ঘটনা এলাকার সকলে দেখেছে। তার ছুরিকাঘাতে আরও চারজন গুরুতর আহত হয়েছে। এর মধ্যে আশরাফুলের অবস্থা আশংকাজনক।
দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কমল কৃষ্ণ ধর বলেন, আমি এখন ঘটনাস্থল এসেছি। ঘটনার বিস্তারিত জানতে চেষ্টা করছি। শান্তের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।