মোঃ হারন উর রশিদ, স্টাফ রিপোর্টার,
নীলফামারীতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে পহেলা ডিসেম্বর থেকে চালু হচ্ছে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ (হেলমেট ছাড়া তেল নয়) কার্যক্রম।
রবিবার (২৭ নভেম্বর/২২) বিকালে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ের কনফারেন্স রুমে পেট্রোল পাম্প মালিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় জেলায় এই কার্যক্রম চালুর ঘোষণা দিয়েছেন পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, পিপিএম।
সড়কে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণ প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার বলেন, সড়কে নিরাপত্তা নিশ্চিত করণে দায়িত্বশীল কর্তৃপক্ষের পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতার কোন বিকল্প নেই। তাই অনাকাঙ্খিত দূর্ঘটনারোধে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে ‘নো হেলমেট নো ফুয়েল’ কার্যক্রম চালু করা হচ্ছে। আগামী পহেলা ডিসেম্বর থেকে ” নো হেলমেট – নো ফুয়েল চালু করা হবে এবং জেলা পুলিশের উদ্যােগে ওসি ও পাম্প মালিকদের নিয়ে একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ খোলা হবে।
তিনি আরও বলেন, “নো হেলমেট- নো ফুয়েল” সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে জেলার প্রতিটি পেট্রোল পাম্পকে সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরার আওতায় আনতে হবে এবং প্রতি সপ্তাহে সিসিটিভি ফুটেজ চেক করা হবে। এই কর্মসূচি বাস্তবায়নে প্রতিটি পাম্পে সচেতনতামূলক ব্যানার টাঙ্গাতে হবে।সেইসাথে কোন ব্যক্তি হেলমেট ছাড়া তেল নিতে এসে মালিক বা ম্যানেজারের সাথে খারাপ আচারন করে তাহলে তাকে আটক করা হবে বলেও আশ্বাস দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় সিনিয়র এএসপি (ডোমার-ডিমলা সার্কেল) আলী মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন সাবকে সাংস্কৃতিক বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নুর এমপি।
তিনি বলেন, সড়কে যতগুলো সড়ক দূর্ঘটনা হয়ে মারা গেছে তার মধ্যে হেলমেট বিহীন যুবকদের সংখ্যা বেশি। তাই মোটরসাইকেল চালকদের দূর্ঘটনাজনিত মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করতে প্রশাসনের পাশাপাশি সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। বিশ্বের সকল দেশে হেলমেট বাধ্যতামুলক করা হয়েছে। তাই মোটরসাইকেল চালকদের হেলমেট পরিধান করা নিশ্চিত করতে হবে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, নীলফামারী চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি প্রকৌশলী শফিকুল আলম ডাবলু, ডিআইও ওয়ান মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউপ, সৈয়দপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম, ডোমার থানার অফিসার ইনচার্জ মাহমুদ-উন-নবী, ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ লাইছুর রহমান, কোর্ট ইন্সপেক্টর মোমিনুল ইসলাম মোমিনসহ নীলফামারী জেলার পেট্রোল পাম্পের মালিক, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ায় গণমাধ্যম কর্মীরা।