মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার,
নীলফামারীর জেলার স্বর্ণ শিল্পী সমিতির ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ ডিসেম্বর/২২) নীলফামারী সুমি জুয়েলার্স ভবনের ৩য় তলায় সকাল ১০টা থেকে বিকেল ২টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে ভোট গ্রহন কার্যক্রম চলে।
নির্বাচনে ডিজিটাল নিত্তি প্রতীক নিয়ে ৭৯ ভোট পেয়ে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন মোঃ রাব্বি ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নাজমুল ইসলাম (বুলেট) তারপাত মেশিন নিয়ে ৫২ ভোট পেয়েছেন।
সাধারণ সম্পাদক পদে হাতুড়ী মার্কায় ৭৫ ভোট পেয়ে আমিনুর রহমান নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিপ্লব সরকার কাচি প্রতিকে ভোট পেয়েছে ৬৭।
এছাড়াও “নেই” প্রতিক নিয়ে কামাল হোসেন ১০১ ভোট পেয়ে সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী দিলদার হোসেন ঢালনি প্রতিক নিয়ে ৪৫ ভোট পেয়েছেন।
সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে গ্যাস মেশিন প্রতিকে ৮২ ভোট পেয়ে মোঃ আলামিন হোসেন নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম মোঃ হাবিবুর রহমান প্লাস প্রতিকে ৬০ ভোট পেয়ে পরাজিত হন। কোষাধ্যক্ষ পদে কলম প্রতিকে ৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন শ্রী বাদল রায়। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আলমগীর হোসেন ক্যালকুলেটর প্রতিকে ৬১ ভোট পেয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হয়েছেন, মোহাম্মদ জিয়ারুল ইসলাম (বাবু), ক্রিড়া সম্পাদক পদে মোঃ বিপুল ইসলাম ও প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ মোতালেব হোসেন।
নির্বাচনে প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন টুপামারী দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ মাসুদুর রহমান মাসুদ।
নির্বাচনে হার-জিতের লড়াইয়ে মাঠে সভাপতি পদে মোঃ নাজমুল ইসলাম বুলেট, মোঃ জুয়েল ইসলাম ও মোঃ রাব্বী ইসলাম। সহ-সভাপতি পদে মোঃ কামাল হোসেন ও মোঃ দিলদার হোসেন। সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ আমিনুর রহমান ও মোঃ বিপ্লব সরকার। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে মোঃ হাবিবুর রহমান ও মোঃ আলামিন হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক পদে মোঃ জিয়ারুল ইসলাম, কোষাধক্ষ্য পদে মোঃ আলমগীর হোসেন, শ্রী বাদল রায়, ক্রিড়া সম্পাদক পদে মোঃ বিপুল ইসলাম, এবং প্রচার সম্পাদক পদে মোঃ মোতালেব হোসেন মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছিলেন।
উল্লেখ্য- এ নির্বাচনকে ঘিরে মনোনয়ন পত্র গ্রহণের তারিখ ছিলো চলতি বছরের ৬ ডিসেম্বর এবং জমাদানের তারিখ ছিলো ৯ ডিসেম্বর। মনোনয়ন পত্র বাছাই ও বাছাইকৃত প্রার্থীর খসড়া তালিকা প্রকাশ ছিলো ১০ ডিসেম্বর। বাতিলকৃত প্রার্থীর আবেদন দাখিল ১২ ডিসেম্বর ও আপিল শুনানীর তারিখ ছিলো ১৩ ডিসেম্বর। প্রার্থীতা প্রত্যাহারের তারিখ ১৪ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ১৫ ডিসেম্বর এবং ভোট গ্রহণের তারিখ ছিলো ২৪ ডিসেম্বর।