মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার,

নীলফামারীর ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার পাঁচ মৌজার কৃষকের তিন ফসলী  জমির মালিকানা বহাল ও এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে পানি উন্নয়ন বোর্ডের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে।

মঙ্গলবার (১১জুন/২৪) দুপুরে ডিমলার কুটির ডাঙ্গা এলাকায় এ সংবাদ সম্মেলন করেন দুই উপজেলার হাজারো ভুক্তভোগী কৃষক।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় কৃষক ময়েজ উদ্দিন, আলিম উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, আলম মিয়া, তইবুল ইসলাম, স্বপন মিয়া।

তারা বলেন, পানি সরবরাহ প্রকল্পের নামে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বুড়ি তিস্তা বাঁধের ডিমলা অংশে কুটির ডাঙ্গা, রামডাঙ্গা, পচারহাট এবং জলঢাকা অংশের চিড়াভিজা গোলনা ও খারিজা গোলনা এলাকার প্রায় ১২শত ১৭ একর ফসলী জমি ও বাড়ি-ঘর পানিগর্ভে চলে যায়। ফলে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কার্যকর সুবিধার পরিবর্তে স্থানীয় কৃষকেরা ভোগান্তিতে পড়ে। খাদ্য চাহিদা পূরনের নিশ্চতায় তিস্তা বাঁধ ও সেচ প্রকল্প বাস্তবায়নের লক্ষে ১৯৬৭-৬৮ সালে হুকুম দখলে(মৌখিক সম্মতি)১০৪.২৫ একর জমি অধিগ্রহন করে। বুড়ি তিস্তায় পানি মজুদ রাখার জন্য ১৪টি জল কপাট বিশিষ্ট একটি ব্যারেজ নির্মান করে মজুদকৃত পানি খরা মৌসুমে কৃষি জমিতে সেচ কাজে ব্যবহারের জন্য বাঁধের দুই প্রান্তে দুটি ক্যানেল খনন করা হয় এবং উল্লেখিত মৌজার কৃষি জমিতে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে মর্মে কৃষকদের জানানো হয়।

তাদের দাবী, ফসল নষ্ট বাবদ পাউবো আংশিকভাবে খেসারতের টাকা পরিশোধ করলেও অবশিষ্ট টাকা অদ্যবদি পরিশোধ করা হয়নি। দীর্ঘদিন পর ২০১০ ইং সালের ১৭ই মে পানি উন্নয়ন বোর্ড কতৃপক্ষ ৪৯২.৭১ হেক্টর পরিমাণ মালিকানা সম্পত্তি মেসার্স তুষুকা নামক ঠিকাদারি রিসোর্স লিমিটেডকে ইজারা দেন। ব্যক্তিগত স্বার্থে পাউবো থেকে ইজারা নিয়ে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি কার্যক্রম পরিচালনা শুরু করলে আমরা বাধা প্রদান করি। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অত্র এলাকার গরীব নিরীহ অসহায় ৭০০ কৃষকের নামে দফায় দফায় কয়েকটি হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। জমির প্রকৃত মালিকগণ উচ্চ আদালতের স্বরণাপন্ন হলে মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে তাদের কথিত কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়। ফলে কৃষকেরা ফসল উৎপাদন করে নিজেদের চাহিদা মেটানোর পাশাপশি জাতীয় খাদ্য চাহিদা পূরনে ভূমিকা রাখছে।

সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।