মোঃ হারুন উর রশিদ,স্টাফ রিপোর্টার,
নীলফামারীর জলঢাকায় অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী ইতি মনিকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় একমাত্র পলাতক আসামী মাহমুদার রহমানকে(২৪) মৃত্যুদন্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত।
বুধবার (২৬ অক্টোবর/২২) দুপুরে এই রায় কার্যকর করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালত-১ এর বিচারক মনসুর আলী। মামলাটি হয়েছিলো ২০০৯ সালের পহেলা অক্টোবর জলঢাকা থানায়।
আদেশ অনুযায়ী, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন,২০০০(সংশোধনী ২০০৩) এর ৯ (২) ধারায় আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীত ভাবে প্রমানিত হওয়ায় তাকে দোষী সাব্যস্থ করে মৃত্যুদন্ড ও দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এজাহার অনুযায়ী, ঘটনাটি উপজেলার মাথাভাঙ্গা এলাকার মৃত হোসেন মিয়াজীর ছেলে মোঃ এয়াকুব আলীর নিজ বাড়িতে গত ৩০ সেপ্টেম্বর ২০০৯ তারিখ বিকাল ৫ টার সময় ঘটে। বাড়িতে একা পেয়ে দুন্দিবাড়ি এলাকার মোঃ আফান উদ্দিনের ছেলে মৃত্যুদন্ডপ্রাপ্ত আসামী মাহমুদার রহমান অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের পর নামাজের চৌকির উপর ওনার একটিক গলায় পেচানো অপরদিক ঘরের তীরের সাথে বাধা অর্ধঝোলা করে রাখে। আসরের নামায শেষে বাবা এয়াকুব আলী বাড়ির টিনের গেইট বন্ধ পাওয়ায় মেয়েকে ডাকাডাকি করে। সাড়া না পেয়ে দরজার শিকল খুলে দেখে ইতির ঘরের দরজা বন্ধ। এয়াকুব আলী ঘরের দরজার সামনে দাড়ানো মাত্রই ধর্ষক মাহমুদার তাকে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়। এরপর ছেলে তরিকুল এসে ঘরে গিয়ে বোনকে ঝুলন্ত অবস্থায় পায়।পরে জলঢাকা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্মরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোণনা করেন। এরপর পহেলা অক্টোবর ধর্ষণ ও হত্যার বিষয় এনে জলঢাকা থানায় এজাহার দাখিল করেন ইতি মনির বাবা মোঃ এয়াকুব আলী।