স্টাফ রিপোর্টার,
রাজধানীর গুলশানের একটি ফ্ল্যাট থেকে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। মোসারাত জাহান (মুনিয়া) নামের ওই তরুণী ছিলেন রাজধানীর মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী।
সোমবার সন্ধা সাড়ে ৭টার পর রাতে গুলশান ২ নম্বরের ১২০ নম্বর সড়কের একটি ফ্ল্যাট থেকে মোসারাত জাহান (মুনিয়া) এর লাশ উদ্ধার করে গুলশান থানা পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে মোসারাত জাহানের বাড়ি কুমিল্লা শহরে।
আরো জানা যায়, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় শিল্প গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের সঙ্গে মোসারাত জাহানের পরিচয় ছিল। তিনি ওই ফ্ল্যাটে মাঝে মাঝে যাতায়াত করতেন এবং ওই ফ্ল্যাটের ভাড়াও তিনিই দিতেন বলেও তথ্য পেয়েছেন পুলিশ ।
পুলিশ সূত্রে আরো জানা যায়, মোসারাত জাহান রোববার তাঁর বড় বোনকে ফোন করে বলেন, তিনি ঝামেলায় পড়েছেন। এ কথা শুনে তাঁর বড় বোন সোমবার কুমিল্লা থেকে ঢাকায় আসেন। সন্ধ্যার দিকে ওই ফ্ল্যাটে যান তিনি।
এ বিষয়ে নিহতের বড় বোন জানান, দরজায় ধাক্কাধাক্কি করলেও বোন দরজা খুলছিলেন না। এরও কিছুক্ষণ আগে থেকে বোনের ফোন বন্ধ পাচ্ছিলেন। পরে বাইরে থেকে ‘লক’ খুলে ঘরে ঢুকে বোনকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখেন। পরে তিনি বাড়িওয়ালাকে বিষয়টি জানান। তখন পুলিশে খবর দেওয়া হয়।
গুলশান বিভাগের উপ পুলিশ কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী ঘটনা সম্পর্কে বলেন, সায়েম সোবহান আনভীরের সাথে মোসারাত জাহান মুনিয়ার প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলে শুনেছেন, ফেসবুকের ছবি দেয়া নিয়ে সায়েমের সাথে এই মেয়ের কথা কাটাকাটি মনোমালিন্য হয়, মেয়েটি তার বোনকে ফোন দিয়ে বাসায় আসতে বলেছিল, বোন জানিয়েছে মেয়েটি বলেছে সে একটা বিপদের মধ্যে পড়েছে, তার বোন বাসায় এসে দেখে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে, পুরো বিষয়টি তারা তদন্ত করে দেখছেন বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানের ছেলের বিরুদ্ধে মেয়েটির মামলা করেছেন বাসার সিসিটিভি জব্দসহ অন্যান্য তদন্তের কাজ পুলিশের পক্ষ থেকে করা হচ্ছে।
এই ঘটনায় রাত ১টা ৩৭ মিনিটে নিহতের বড় বোন বাদী হয়ে ৩০৬ ধারায় একটি মামলা করেছেন। মামলা নম্বর ২৭। মৃত্যুর প্ররোচনাদাতা হিসেবে সায়েম সোবাহান তানভীরকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে মঙ্গলবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে মুনিয়ার মরদেহের ময়নাতদন্ত করেন চিকিৎসকরা। পরে স্বজনরা তার মরদেহ নিয়ে কুমিল্লার পথে রওয়ানা হন।