সাতক্ষীরা প্রতিনিধি,
সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের ১০ম শ্রেণীর স্কুল ছাত্রী পূর্ণিমা দাসকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের পিতা শান্তিরঞ্জন দাস বাদি হয়ে একই গ্রামের শিবপদ মন্ডলের ছেলে পার্থ মন্ডলের নাম উল্লেখ করে শুক্রবার রাতেই এ মামলা দায়ের করেন। এদিকে, এ হত্যাকান্ডের ঘটনায় ৩/৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে জানিয়েছেন পুলিশ।
জানা যায়, দেবহাটা উপজেলার টিকেট গ্রামের শান্তিরঞ্জন দাসের মেয়ে গাভা একেএম আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী পূর্ণিমা দাসের সঙ্গে একই গ্রামের পার্থ মন্ডলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। এক বছর আগে পূর্ণিমাকে বিয়ের জন্য পার্থ মন্ডল প্রস্তাব দেয়। শান্তিরঞ্জন দাস সেই প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে বিষপানে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট পড়তে বেরিয়ে রাতে বাড়ি ফেরেনি পূর্ণিমা। শুক্রবার সকালে একই গ্রামের তারক মন্ডলের বাড়ির সবজি বাগান থেকে পূর্ণিমার হাত বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কামড় ও নখের দাগ ছিল। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় পূর্ণিমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
দেবহাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক ফরিদ আহম্মেদ জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা শান্তিরঞ্জন দাস বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলার একমাত্র পলাতক আসামী পার্থ মন্ডলকে গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তিনি আরো জানান, এ ঘটনায় ৩/৪ জনকে আনা হয়েছিল জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে।